বিশ্বের সফল এবং অসাধারন গবেষণা, উদ্ভাবন এবং মানব কল্যাণে পরিচালিত কার্যক্রমের জন্য সারা পৃথিবী থেকে নির্বাচিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পদক। আর তো হলো নোবেল পুরস্কার। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সুইডেনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরান- এই তিন দেশ আমন্ত্রণ পাচ্ছে না।
মূলত সুইডেন ও ইউক্রেনের রাজনীতিবিদদের তোপের মুখে দেশ তিনটিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না নোবেল ফাউন্ডেশন। সুইডেন ও ইউক্রেনের রাজনীতিবিদদের তোপের মুখে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাচ্ছে না রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরান। নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের ফাইল ছবি।
গত শনিবার ২ সেপ্টেম্বর আরটি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণের ঘোষণা দেয় নোবেল ফাউন্ডেশন। কিন্তু এই ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুইডেন ও ইউক্রেনের রজনীতিবিদেরা। পরে সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের অনুষ্ঠানে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়া ও বেলারুশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর সে সময় তেহরানে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলায় অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়ে ইরানও। কিন্তু এ বছর নোবেল ফাউন্ডেশন ঘোষণা দিয়েছিল যে, ‘ভিন্ন মতের আলোচনার’ জন্য ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু এই ঘোষণার দুদিন পরই নোবেল ফাউন্ডেশন আবারও ঘোষণা দেয়, তারা এই তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না।
গত শনিবার নোবেল ফাউন্ডেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সুইডেন থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। যার কারণে নোবেল বোর্ড গত বছরের সিদ্ধান্তেই অটল থাকছে। এ বছরও স্টকহোমে অনুষ্ঠিত নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিসটারসন সুইডিশ সংবাদ সংস্থা টিটিকে বলেছেন, ‘রাশিয়াকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করা জরুরি।’ অন্যদিকে সুইডেনের কেন্দ্রীয় দল, বাম দল এবং গ্রিন পার্টিও হুমকি দিয়েছিল যে, ওই তিন দেশের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে না নিলে তারা নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বয়কট করবে।